এবার যুক্তরাষ্ট্র বলল, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে জবরদখল চালাচ্ছে ইসরাইল। মা’র্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশা’সন বলেছে, ইসরাইল যেভাবে পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণ করছে তা প্রকৃতপক্ষে দখলদারিত্বই। পশ্চিম তীরে ইসরাইলের দখলদারিত্ব নিয়ে বার্ষিক এক প্র’তিবেদন প্র’কাশের পর বুধবার এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করে মা’র্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র। ইসরাইল বিষয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের বক্তব্য ও অব’স্থানের চেয়ে ভিন্ন অব’স্থানের আভাস দিচ্ছে এই বিবৃতি। খবর এএফপির।
স’ম্প্রতি প্র’কাশিত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ারস আন দ্য প্যালেস্টাইন টেরিটরিসের (ওসিএইচএ) এক প্র’তিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের জে’রুজালেম ও পশ্চিম তীরে বেপরোয়া আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব চালাচ্ছে ইসরাইল। এতে আরও বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে ফিলিস্তিনিদের ভিটেমাটি দখল করার আগ্রাসন শুরুর পর চলতি বছর জবরদখল বেড়েছে ৬৫ শতাংশ।
৩০ মা’র্চ, মঙ্গলবার ছিল ফিলিস্তিনিদের ৪৫তম ভূমি দিবস। ফিলিস্তিনিরা ১৯৭৬ সাল থেকে ৩০ মা’র্চকে ভূমি দিবস হিসাবে পা’লন করে আ’সছে। এদিনই বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার ইস্যুতে বার্ষিক প্র’তিবেদন প্র’কাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্র’তিবেদনে পশ্চিম তীরের সাম্প্রতিক প’রিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই ‘দখলদারিত্ব’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে মা’র্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস গণমাধ্যমক’র্মী দের এসব তথ্য জা’নান। তিনি বলেন, ‘এটা মা’র্কিন সরকারের দীর্ঘদিনের অব’স্থান। অর্থাৎ বহু দশক ধ’রে দল-মত নির্বিশেষে পূববর্তী সরকারগুলো এ অব’স্থান বজায় রেখেছে।
কিন্তু ইসরাইলপন্থি ট্রাম্পের আমলে অত্যন্ত রূঢ়ভাবে বার্ষিক মানবাধিকার প্র’তিবেদনে ‘ইসরাইল ও অধিকৃত ভূ-খণ্ডগুলোর পরিবর্তে লেখা হয়েছে ইসরাইল, পশ্চিম তীর ও গাজা। এর মাধ্যমে ইসরাইলের দখলদারিত্বকে স্বী’কার করা হয়নি। ক্ষ’মতায় আসায় পর বৈশ্বি’ক মানবাধিকার নিয়ে বাইডেন প্রশা’সনের প্রথম প্র’তিবেদনটিতেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। কিন্তু তারা যে ভাষা প্রয়োগ করেছে তার দ্বারা কোনো পক্ষ অবলম্বন করা হয়নি।